FACTS ABOUT ফেরা গল্পের মূলভাব REVEALED

Facts About ফেরা গল্পের মূলভাব Revealed

Facts About ফেরা গল্পের মূলভাব Revealed

Blog Article

কেনাবেচা চলে, পেল্লাই সব ফ্ল্যাট বাড়ি উঠছে–বাঁশের ঝাড় সাফ হয়ে যাচ্ছে। পাজামা পাঞ্জাবি গায়, কখনো তিনি ভোটের বাবুও হয়ে যান—কখনো

ডানপিটে এক কিশোর ফজল। ১৯৭১ এর উত্তাল সময়ে সে স্কুল পড়ুয়া। পড়ালেখায় খুব একটা আগ্রহ না থাকলেও মারামারিতে সে সবচেয়ে এগিয়ে। কারণ ওর ডাকাবুকো সুঠাম গঠন। শিক্ষক বাবার চিন্তার অন্ত নেই তাকে নিয়ে- বাবার মুখ কখনোই উজ্জ্বল করতে পারবে না সে। কিন্তু এই আপাত বখে যাওয়া কিশোর একাত্তরের উত্তাল সময়ে অস্ত্র হাতে নেমে পরে দেশ মাতৃকাকে স্বাধীন করার শপথ নিয়ে। কিশোর মন তার, স্বাধীন দেশে ঘরে ফেরার স্বপ্ন নিয়ে বন্দুক হাতে যুদ্ধ করে যায় সে। চোখে তাঁর ঘরে ফেরার স্বপ্ন, সম্মুখে শত্রুসেনা। সে কি ঘরে ফিরতে পারবে?

এই দৃষ্টি নিক্ষেপ চলার মাঝেই একজন ২৫/২৬ বছর বয়সী মহিলা আকাশের গা ঘেঁষে কিছুদুর এগিয়ে গিয়ে ফুটপাতে গিয়ে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে বাঁকা চোখে চেয়ে রইলো। আকাশ বেশ বিরক্ত হয়ে ঐ মহিলার দিকে তাকাল। মহিলা দেখতে বেশ ফর্সা। সিঁথিতে লাল টকটকে সিঁদুর আর কপালের মাঝখানে দু ভ্রুর সংযোগ সরল রেখার মধ্যবিন্দুর কিছুটা উপরে বড় গোল একটা সিঁদুরের টিপ। হাতে সাদা শাঁখা, নোয়া। পশ্চিমা ইন্ডিয়ান মহিলাদের স্টাইলে শাড়ি পড়া। মুখে মনে হয় পান। একটু পর পর কি যেন চিবুচ্ছে আর রাস্তায় পিচ করে থুথু ফেলছে। মহিলার আচরণ দেখে আকাশের মেজাজ সপ্তমে উঠে গেল। কিছু বলতে যাবে এমন সময় সে তার প্রয়োজনের কথা ভেবে নিজেকে সংবরণ করলো। প্যাকেট খুলে সিগারেট ধরাল। ধোঁয়া ছেড়ে মহিলার দিকে তাকাতেই মহিলাও সঙ্গে সঙ্গে চোখ নামিয়ে অন্য পাশে তাকিয়ে রইলো। যেন সে কিছুই দেখেনি। ভাব এমন যে দরকার শুধু আকাশের, তার না। আরে এই টাকা দিয়েই তো তোদের সংসার চলে। কোথায় কাস্টমারদের সম্মান দেখাবি তা না উল্টা ভাব মারে!

সব হবে। নীলুদা মউজা দাগ নম্বর দেখিয়ে তাকে বুঝিয়েছে, সোজা না,

শশী হিমু বলেছেন: তুমি ভুল লেখছ, আমি কি করুম?

নিশাচর ভবঘুরে বলেছেন: অসাধারণ একটা গল্প পেতে যাচ্ছি। মুড থাকতে থাকতে শেষ করেন।

গল্পটা ছোট্ট একটা শহরের ছেলে ফজলের। যুদ্ধ শুরুর আগে আগে সবে তখন দেশ উত্তাল হতে শুরু করেছে,ফজল তার বন্ধুর সাথে মারামারি করে ফিরে এলো। তার বাবা তাকে কটাক্ষ করে তার মায়ের উদ্দেশ্যে বললেন,"এই ছেলে সারাজীবন লজ্জা আর অপমান ছাড়া আমাকে কিছুই দেবে না।"

ফারিয়া বলেছেন: গল্পটা অন্যরকম, এরকম গল্প অনেকদিন পড়িনি!

আর সবচেয়ে বেশি মনোযোগ মনে হয় প্রচ্ছদে.. বুঝলাম না আমাদের এরপর কি হবে! ভিতরে মনে হয় যা তা ঠুশে দারুন প্রচ্ছদ হলেই কেল্লাফতে! আর বই একবার বিক্রি হয়ে গেলেই তো হল! পয়সা উশুল। অনেক শিক্ষা হল, আর এই পথে যাচ্ছি না।

কিন্তু আম্বিয়া বেগম গলায় জোর দিয়ে বললেন, তেমন ভুল হতেই পারে না। কোনও মা তার সন্তানকে চিনতে ভুল করতে পারে না। তাঁর একার যদি ভুলও হয়, জুলেখার ভাই-বোন বা পাড়া-প্রতিবেশীদেরও তো একই সঙ্গে ভুল হতে পারে না।

জাগতিক নিয়মে, সব পাখি নীড়ে ফেরে। ফুল ফোটে, বৃষ্টি নামে এবং নদী তার আপন পথে বাঁক নেয়। কিন্তু, ফেরে না কেবল মানুষ। অহংকার আর অহমিকার দহনে তার বুকের ভেতরে জিইয়ে রাখে পাহাড়সম আগুন। সেই আগুনে ঝলসে যায় সে নিজে এবং ঝলসে দিতে চায় তার চারপাশ। মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ আর বেপরোয়া। সে তার অস্তিত্বের কার্যকারণ ডিঙিয়ে নিজেকে আমিত্বের আসনে দেখতে চায়। নিজের ক্ষুদ্রাকৃতির প্রতি চূড়ান্ত ভাবলেশহীন হয়ে সে নিজেকে অনন্ত-অসীমে কল্পনা করে বসে। ফলে সে বিচ্যুত হয়। পদস্খলন ঘটে তার। যুগে যুগে যাদের ধ্বংসের পদধ্বনি আমরা শুনতে পাই, তাদের সকলের যেন একই গল্প, একই চিত্রনাট্য—ঔদ্ধত্য, অহংকার আর অনাচার। এক মহাসত্যকে পাশ কাটিয়ে, নিজেকে নিয়ন্ত্রকের আসনে যখনই সে আসীন করতে গেছে, তখনই ধ্বংস অনিবার্য হয়ে নিপতিত হয়েছে তার ওপর।

সজিব হাসতে হাসতে প্রশ্ন ছুড়ে দেয় আকাশের দিকে। আকাশ click here সজিবের প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে সজিবের ডান হাত টেনে তুলে তাতে ২০ টাকা দিয়ে কেনা গাঁজার পুরিয়া দিয়ে সামনের প্রশস্ত রাস্তায় হাঁটতে শুরু করে। সজিব জোরে একটা ডাক দেয়, আরে আকাশ কৈ যাস?

বিপ্রদাস কোনো নোটিশ পায়নি? আজ্ঞে না। নোটিশ নিয়ে বহু কথা ওড়াউড়ি হয়। আজ্ঞে না

আমরা কিছু ভালোবাসি সেটা বোঝাতে এখনো কি ঘৃণা করি সেটা প্রথমে বলা খুব জরুরী মনে করি। নিজের ভাষাকে ভালোবাসি এটা বলার আগে আমরা বলি হিন্দি ভাষা জঘন্য। নিজের দেশকে ভালোবাসি বলার আগে বলি আমরা আমেরিকার মতো না। পাকিস্তানকে ইচ্ছামতো গালি দিলেই মনে করি খুব মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রকাশ করা হয়ে গেল।

Report this page